শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে
লালমনিরহাট গণহত্যা দিবস স্মৃতিস্তম্ভ্য নির্মাণ করার দাবী

লালমনিরহাট গণহত্যা দিবস স্মৃতিস্তম্ভ্য নির্মাণ করার দাবী

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ডটিতে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা নির্মমভাবে গণহত্যা চালিয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিসহ ৪শতাধিক নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাদের লাশগুলো পার্শ্ববর্তী রেলওয়ে পুকুরে নিয়ে গণকবর দেয়। কিন্তু হত্যাযজ্ঞের স্থানটিতে স্বাধীনতার ৪৯বছরেও সরকারি ভাবে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ্য।

 

জানা যায়, উর্দূভাষী বিহারী অধুষ্যিত লালমনিরহাট জেলা শহরে পশ্চিমা শোষক ও তাদের দোসরদের বাংলার মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করার দৃঢ় সংকল্পে চারিদিকে শ্লোগান উচ্চারিত হতে থাকে। লালমনিরহাট জেলা শহরে বিরাজ করতে থাকে টান টান উত্তেজনা। এদিকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেয়ার পর লালমনিরহাটে আরো উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুরু হয় পাকিস্তানী বাহিনী ও উর্দূভাষী বিহারী তথা অবাঙ্গালী কর্তৃক নির্মম হত্যাকান্ড এবং বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড।

 

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় জেলার রেলওয়ের ওভার ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের রিক্সা ষ্ট্যান্ডে ডাঃ আব্দুর রহমান, ডাঃ মোক্তাদির, ডাঃ এ.জি আহমেদ, শহীদ মোফাজ্জল হোসেন ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৬শতাধিক লোককে ধরে এনে লাইন করে দাঁড় করিয়ে গুলি চালিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনা ও তার এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা। এদিকে সেই নির্মম হত্যাকান্ডের ৪৯বছর পেড়িয়ে গেলেও সেই হত্যাকান্ডের দোসর রাজাকার-আলবদরদের তালিকা এখনও তৈরি হয়নি। ফলে তাদের বিচারের আওতায় আনাও সম্ভব হয়নি।

 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ জানান, সেই দিনের শহীদদের গণকবরটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আর হত্যাযজ্ঞের স্থানটিও ‘৭১-এর স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণ করে গড়ে তোলা হবে। আর বর্তমান সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সেই দিনের নরপিশাচদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

 

লালমনিরহাট জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের দাবী এ হত্যাযজ্ঞের স্থানটিকে সংরক্ষিত করে শহীদদের স্মরণে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ্য নির্মাণ করা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone